BREAKING NEWS - W.P.L.O.C.K.E.R...C.O.M
Search

সাধারণ স্ত্রীর চোখে তারকা স্বামী

বিনোদন ডেস্ক::

Screenshot_2016-07-11-00-52-58~2

বিনোদন অঙ্গনে তারকা দম্পতিদের ঘিরে ভক্তরা বরাবরই উৎসুক। তবে তারকাদের সাধারণ অর্ধাঙ্গিনী অর্থাৎ স্ত্রীদের নিয়েও কৌতূহলের কমতি নেই। সাধারণ বলতে যারা বিনোদন অঙ্গনে যুক্ত নন। তারকা স্বামীর স্ত্রী হিসেবে কেমন লাগে, তারকার বউ হওয়ার ঝামেলা, স্বামীর ভালোমন্দ- এমন কিছু বিষয় নিয়ে বলেছেন তারা। চলুন পড়ি।


মুখোশ পরে কেনাকাটা!

বালামের স্ত্রী সাগুফতা
অনেকটা চাপা স্বভাবের মেয়ে ছিলেন সাগুফতা ফারুক সাদিয়া। কিন্তু বালামের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা তাকে অনেকটা পাল্টে দিয়েছে। তিন-চার বছর আগে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত অসুখে ভুগে তার শরীরের একপাশ অকেজো হয়ে পড়েছিলো। তবে বালামের যত্ন, সেবা আর উৎসাহ তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। বালামের প্রশংসা করে সাগুফতা বললেন, ‘ও আগাগোড়া ভালো মানুষ। অন্যদের কাছে কেমন জানি না, তবে আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ বালাম।’

সাগুফতার ভালো মানুষটা একজন তারকা, এ কারণে একসঙ্গে কোথাও গিয়ে শান্তি পান না! ‘ওর সঙ্গে যেখানেই যাই ভক্তরা ঘিরে ফেলে, সেলফি তোলে। আমরা কখনও রেস্তোরাঁর ভেতরে গিয়ে খাই না। গাড়িতে বসেই আমাদেরকে খেতে হয়। একবার ওকে বললাম তুমি মুখোশ পরে আমার সঙ্গে কেনাকাটা করতে যাবে তাহলে তোমাকে কেউ চিনতে পারবে না! কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি, ভক্তরা ঠিকই চিনে নিয়েছে’- মজার ঘটনার কথা ভাগাভাগি করলেন সাগুফতা।

ঈদের দিন গরু, মুরগি ও খাসির মাংস আর গাজরের হালুয়া রান্না করেছেন সাগুফতা। কেনাকাটা শুরু করেছিলেন অনেক আগে, চাঁদরাত পর্যন্ত কিনেছেন। তাদের পুত্রসন্তান ফাবিয়ান জাহাঙ্গীরের কেনাকাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওর বয়স মাত্র পাঁচ বছর। কিন্তু বালাম যেরকম পোশাক পরবে তাকেও সেই একই রকম কিনে দিতে হবে। শুধু ঈদ বলে নয়, সবসময় বাবার মতো হবহু পোশাক পড়ে সে।’


বাস্তবেও ততোটাই রোমান্টিক

অপূর্বর অর্ধাঙ্গিনী নাজিয়া
ঈদের দিনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই আছেন অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান দম্পতি। এদিন বাইরে যাওয়ার তেমন পরিকল্পনা করেন না তারা। কারণ অপূর্ব প্রতিদিনই ব্যস্ত থাকার কারণে ঘরে থাকার সুযোগ পান না তেমন। তাই ঈদের দিন তিনি থাকলে পরিবারের সবাই অনেক খুশি হন।

অপূর্ব কোনো দাওয়াতে যেতে চান না। তাই বিভিন্ন দাওয়াতে নাজিয়াকে একাই থাকতে হয়। ‘বেশিরভাগ সময় ঈদের মার্কেট আমিই করি। তবে প্রতি বছর চাঁদরাতে নিজে থেকে আমার জন্য কিছু না কিছু কিনে নিয়ে আসে ও’- বললেন নাজিয়া।

অপূর্বর ব্যস্ততা প্রসঙ্গে নাজিয়া বললেন, ‘বুঝতে পারি ওকে কতোটা ব্যস্ত থাকতে হয়। এজন্য কোনো বিষয়ে তাকে চাপে রাখি না। তবে অপূর্ব ফাঁকা থাকলেই আমার সঙ্গে সময় কাটায়। নাটকে ওকে যেমন রোমান্টিক দেখায়, বাস্তবেও ততোটাই রোমান্টিক।’


শাশুড়ি যখন ভক্ত

তপুর সহধর্মিণী নাজিবা

ব্যক্তি হিসেবে সাধারণ মানুষই পছন্দ সংগীতশিল্পী তপুর স্ত্রী নাজিবা সেলিমের। শ্বশুরবাড়ির সবার কাছেই তপুর আলাদা কদর আছে। বিশেষ করে শাশুড়ি তার গানের বেশ ভক্ত। পরিবারের সবাইকে উপহার দিয়েছেন তারা। রোজার ঈদ সবসময় ঢাকায় উদযাপন করেন তপু-নাজিবা দম্পতি। কোরবানির ঈদে মা-বাবার সঙ্গে কাটাতে যান ভোলায়।

স্বামীর ব্যস্ততার কারণে বিয়ের পর ঈদে এখনও পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে কি-না জানতে চাইলে বলেন, ‘ছুটির দিনগুলো মাথায় রেখে আমরা আগেভাগে পরিকল্পনা করি। ফলে এখনও পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।’




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *