BREAKING NEWS - W.P.L.O.C.K.E.R...C.O.M
Search

সীতাকুণ্ডের দারোগারহাটে ‘কলি বেকারিতে’ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: জরিমানা ও বেকারি সিলগালা

ফারুক আযম শওকত::

পোড়া পামঅয়েল, কাপড়ের রং ও ফ্লেভার দিয়ে কেক, বিস্কিটসহ নানা বেকারি পণ্য তৈরির সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লো কারিগর ও বেকারি মালিক। তবে বেকারির কারিগর বলছেন, রং ও ফ্লেভার ‘সেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার বড় দারোগারহাট এলাকার ‘কলি বেকারিতে’ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান এ চিত্র উঠে এসেছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রুহুল আমিন।

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রুহুল আমিন বলেন, বড় দারোগাহাট এলাকার কলি বেকারিতে গিয়ে দেখা যায় অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে তারা বেকারি পণ্য তৈরি করছিল। এমনকি পোড়া ও ময়লাযুক্ত পামঅয়েল দিয়ে বেকারি পণ্য ভাজা হচ্ছিল। নিম্নমানের ক্ষতিকর কাপড়ের রং আর ফ্লেভার দিয়ে তারা কেক ও বিস্কিট বানাচ্ছিল কারিগর। তখন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব পণ্য কেন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জিজ্ঞেস করা হলে; কারিগরি উত্তরে বললো-‘ওসব সেন্ট’, বেকারি পণ্যে সেন্ট হওয়ার তা জন্য তা ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই বেকারির বিস্কিটের ট্রে গুলোতে মাছের কাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং অনুমোদনহীন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করছে। এমনকি বেকারি পণ্যে আগাম তারিখের স্টিকার লাগানোর চিত্রও দেখা গেছে। এসব অপরাধসহ ‍বিএসটিআই এর লাইন্সেস না থাকার দায়ে বেকারির ম্যানেজার মো. ইউনুসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং  বেকারি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, একই দিন নোংরা ও এক মাসেরও পুরনো জিলাপির খামির ব্যবহার করার দায়ে বড় দারোগার হাট এলাকার মিষ্টির দোকান নামে এক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে এবং নোংরা ও পুরনো মিষ্টি সংরক্ষণ করায় ওই প্রতিষ্ঠানের ১ মন মিষ্টি ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়াও আবাসিক সংযোগ নিয়ে ব্যাটারি চার্জের কারখানা বসানোর দায়ে একই এলাকার পেশকারপাড়ায় ২টি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ১০টি চার্জার, একটি মিটার ও ১০টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *