শেফালী দেবী (সীতাকুণ্ড)::
আজকের শিশু আগামি দিনের কর্ণধার। আর এই শিশুদেরকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের অন্যতম সাংস্কৃতিক ও শিশু সংগঠন বারামখানা। সীতাকুণ্ড থানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত এই সংগঠনে প্রতি শুক্রবার শিশুদের গান, নৃত্য, বাঁশি, তবলা, গিটার, চিত্রাংকন, আবৃতি ও অভিনয়সহ নানান বিষয়ে শিখানো হয়। প্রতিটি বিষয়ের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষক।
প্রান্ত চন্দ্রনাথ এই সংগঠনের একজন তবলার ছাত্র। তবলা বাজানো তার একটি শখ। সে বড় হয়ে একজন শিক্ষক হতে চায় এবং দ্ররিদ্য ও নিপীড়িত মানুষের মাঝে শিক্ষার সুযোগ করে দিতে চায়। নৃত্যের শিক্ষার্থী মাহিবা রহমান নাবিলা বলে, নৃত্য তার খুবই ভাল লাগে। সে বড় হয়ে একজন বিচারক হতে চায় আর সুবিচার করে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে চায়। শিশুদের এই উৎসাহ এবং উদ্দীপনাই দিতে পারে একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ।
শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চার বিষয়ে অভিভাবক সুমাইয়া কারিন শ্রাবন্তী বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিশুদের মন সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে এবং তারা সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। আর তাই সাংস্কৃতিক চর্চায় শিশুদের সবসময় যুক্ত রাখতে হবে। যাতে তারা পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চায়ও এগিয়ে আসতে পারে।
এ বিষয়ে তবলার শিক্ষক অভি আচার্য রূপণ বলেন, শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চা হচ্ছে একটি ভাল লাগা আর ভালবাসার বিষয়। শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শিশুদের পড়াশুনার পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন নৃত্যের শিক্ষিকা ঐশি মল্লিক। তিনি বলেন, একটু খেয়াল করলে দেখা যায় বর্তমানে কিছু কিছু শিক্ষার্থী জঙ্গীবাদের মতো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর অবসর সময়টা শিশুদের যদি বিনোদনে ব্যস্ত রাখা যায় তবে তারা এসব অশুভ কাজ থেকে বিরত থাকবে। তাদের নাচ, গান এবং খেলাধুলার সুযোগ করে দিলে তারা হাসিখুশি ও ভালভাবেই দিনযাপন করতে পারবে।
বারামখানা সংগঠনের সভাপতি রায়হানুর জামান চৌধুরী নাহিদ বলেন, শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এই সংগঠনটি চালু হয়েছে। যাতে শিশুরা পড়াশুনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতেও অবদান রাখতে পারে। শিশুরাই আগামী দিনের প্রাণ এবং ভবিষ্যত। এই সংগঠন ভবিষ্যতে শিশুদের আরও অনেক দুর এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এ ধরণের শিশু সংগঠন গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।