সীতাকুণ্ড প্রতিদিন ডেস্ক ::
এদিকে করো’নার কারণে গত ১৬ মা’র্চ থেকে একযোগে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে কয়েকদফা বাড়ানো হয় বন্ধের মেয়াদ। আজও দেশে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
তবে এই ছুটির মধ্যেই নতুন করে আবারো দারুণ এক সুখবর পাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি’শুদের মায়েদের নগদ অর্থসহ আরো বেশকিছু উপকরণ দেবে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা উপকরণ ও চলতি বছরের ছয় মাসের উপবৃত্তি বাবদ মোট এক হাজার ৯০০ টাকা। আর এই টাকা পাঠানো হবে- মোবাইল ব্যাংকিং রকেট অথবা বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুলড্রেস, ব্যাগ ও জুতা ক্রয় বাবদ মা’থাপিছু এক হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
সম্প্রতি বিষয়টি সরকারি অনুমোদনের পরে উপবৃত্তি প্রকল্পের ফেস-৩ (তৃতীয় ধাপে) এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক এই অর্থ প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, করো’না পরিস্থিতিতে কিছুটা আর্থিক সহায়তা দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হবে। মাসিক ১৫০ টাকা হারে ছয় মাসে মোট ৯০০ টাকা প্রদান করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিই মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, বর্তমান করো’না পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে ছয় মাসের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বাবদ ১ হাজার ৯০০ টাকা মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।
ইতোমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এ অর্থ শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইল নম্বরে বিকাশ বা রকেট অ্যাকাউন্টে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই এ অর্থ তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দু’র্যোগকালীন সময়ে এই অর্থ পেলে কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীর পরিবারগুলো উপকৃত হবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে ২০০৮ সালে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ গ্রহণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের মেয়াদ ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ পর্যায় প্রথমে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে এর সঙ্গে আরও ১০ লাখ শিক্ষার্থী যু’ক্ত করা হয়। প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলে আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়েছিল। এবার সংশোধনীতে আরও বাড়ানো হলো এর মেয়াদ।