BREAKING NEWS - W.P.L.O.C.K.E.R...C.O.M
Search

মৃত্যুর ভয়ে জীবন তো অচল থাকতে পারে না

ন্যাশনাল ডেস্ক :: নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তারের ঝুঁকি থাকলেও লকডাউন শিথিল না করেও যে কেন উপায় ছিল না, তা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এক মাস ধরে জনজীবন স্থবির থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জীবন তো কখনও অচল হয়ে থাকতে পারে না। যে কারণে এখন রোজার মাস অনেকেরই একটু জীবন-জীবিকার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমরা কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করেছি।’ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন শুরুর এক মাস পর ঈদের আগে সরকার যখন কিছু বিধি নিষেধ শিথিল করেছে, তখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও দ্রুত গতিতে বাড়তে দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। খবর বিডিনিউজের।
সরকার গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু মানুষের জীবিকার সঙ্কটে এটা কত দিন চলতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘কতদিন একটা মানুষকে আমরা আটকে রাখতে পারি? মানুষের জীবনের প্রয়োজনটা অনেক বেশি। মানুষের ক্ষতি হবে, মৃত্যু হবে, সেই চিন্তা করে তাদের যতই আমরা আটকে রাখি না কেন, ক্ষুধার জ্বালাটা তার থেকে অনেক বেশি। মানুষের পেটে ক্ষুধার অন্ন জোগাতে হবে, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ছোট ছোট শিশুরা কতদিন ঘরে বসে থাকবে? তাদের লেখাপড়ার সুযোগ করতে হবে।’ তাই এই অবস্থায় বিধি-নিষেধ শিথিল হলেও জনগণকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে সরকারের উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। পদক্ষেপ নিয়েছি বলেই হয়ত অন্যান্য দেশে যেভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বা আক্রান্ত হয়েছে, আমরা সেটা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। দেশবাসীকে আমি বলব, আপনারা সবাই আস্থা রাখবেন, বিশ্বাস রাখবেন, মনোবল রাখবেন এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবেন। করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য প্রত্যেকটা জেলা উপজেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ২ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি। তাদেরকে আমরা ট্রেনিং দিয়ে ইতিমধ্যে কাজে লাগাচ্ছি। ৬ হাজার নার্স আমরা নিয়োগ দিয়েছি অতিরিক্ত। এই সাথে সাথে আরও কিছু লোক নিয়োগ দেব, যেখানে আমাদের অনেক টেকনিশিয়ান দরকার হবে এবং আরও লোক লাগবে। তারও ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে এককালীন নগদ সহায়তা দেওয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, তাছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই ত্রাণ বিতরণ চলছে। সেটা আমি প্রতিনিয়ত খবর নিয়ে থাকি। আমরা যেমন সরকারিভাবে দিচ্ছি, বিভিন্ন বিত্তবানরাও দিচ্ছেন। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও আমরা আমাদের কমিটি করে দিয়ে সারা এলাকায় একেবারে ইউনিয়ন পর্যন্ত সাধ্যমতো ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছি। অর্থাৎ কোনো মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, বিনা চিকিৎসায় যেন না কষ্ট পায়, সেদিকেও আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি- বলেন শেখ হাসিনা।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *