BREAKING NEWS - W.P.L.O.C.K.E.R...C.O.M
Search

সীতাকুণ্ডে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে কঠোর অবস্থানে পুলিশ, রাস্তা-ঘাট ফাঁকা; জনমনে স্বস্তি


মীর মোঃ দিদারুল হোসেন টুটুল :: সীতাকুণ্ডে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্হানে গেলে বাজার ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় জনগণের মাঝে স্বস্হি ফিরে এসেছে।

জানা যায়,সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও সীতাকুণ্ড উপজেলার জনগণ করোনা আক্রান্ত মুক্ত ছিল। তাছাড়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন বাজারে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বার বার তাগিদ দিয়ে আস ছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু বাজার করতে আসা লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে যার যার ইচ্ছামত চলাফেরা করে। এমনি অনেকে অহেতুক বাজারে ঘুরাঘুরি করে। আর এতে করে গত ১৫/২০ দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কল্পনাতীত ভাবে বাড়তে থাকে।

এ অবস্হায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বাজার কমিটি নড়েচড়ে বসে। তাই ফেইসবুক সামাজিক মাধ্যম, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্হা গুলো বাজারে অহেতুক ঘুরাফিরা প্রতিরোধ করতে উদ্যোগ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তাই বাজারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য নিত্যপন্যের দোকান ছাড়া বাকী সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে ২০/০৫/২০২০ইং থেকে উপজেলা প্রশাসন নির্দেশনা জারি করে। এরপর পুলিশ প্রশাসন ও বাজার কমিটি যৌথভাবে লাঠি নিয়ে পৌর সদরে নেমে হুইসেল বাজিয়ে সকলকে বাড়ীঘরে চলে যেতে বাধ্য করে। আর এই কঠোর প্রদক্ষেপের কারণে বাজার শূন্য হয়ে যায়।

অপরদিকে প্রশাসনের এ ধরনের প্রদক্ষেপে জনগণের মাঝেও স্বস্হি ফিরে আসে।কাউকে কাউকে এও বলতে শোনা যায়,” বাঙালী ঠান্ডা দিয়ে ঠান্ডা হয় “।এদিকে পৌরসদর বাজার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল আলম রফিক জানান,এই মহাদূর্যোগ করোনার প্রাদূর্ভাব থেকে নিষ্কৃতি না পাওয়ার জন্য নিত্যপন্যের দোকান ছাড়া কোন মার্কেট খোলা হবে না।


পুলিশের কঠোর অবস্হানের ব্যাপারে মডেল থানার ওসি ইন্ট্যালিজেন্স সুমন বনিক ও সেকেন্ড অফিসার মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা এভাবে কার্যক্রম চালাতে পারলে মানুষ অহেতুক বাজারে ঘুরাফিরা না করে ঘরমুখী হবে।এতে করে করোনা আক্রান্ত রোগীও তেমন বাড়বে না।


এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, বাজারে আসা লোকজন সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে যেভাবে করোনা আক্রান্তের রোগী বেড়ে যাচ্ছে,তাতে আমরা উদ্দীগ্ন হয়ে পড়ি।তাই বাজার কমিটিসহ বিভিন্ন সুশীল সমাজের অনুরোধে মার্কেট না খোলার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করি।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *