বিশেষ প্রতিনিধি ::
সীতাকুণ্ডে উল্টো পথে আসা রেল ইঞ্জিনের ধাক্কায় বাবা-মেয়েসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বাড়ি ভাটিয়ারী খাদেরপাড়া এলাকার আবুল কাশেম (৫০) ও তার মেয়ে সোমা আক্তার (১৩ মাস)। তবে নিহত অপরজনের (৬০) পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে আব্দুল মালেক তার স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে রেল লাইন দিয়ে পার্শ্ববর্তী কেশবপুর ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। এসময় রেলের একটি ইঞ্জিন উল্টো দিকে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আব্দুল মালেক ও তার কন্যার মৃত্যু হয়। এসময় সঙ্গে থাকা তার স্ত্রীও গুরুতর আহত হন। একই দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও ঘটনাস্থলে মারা যান। দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত রোকেয়া বেগমকে (৩৫) উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হারুন পাশা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন জানান, ‘উল্টোপথে আসা রেল ইঞ্জিনের ধাক্কায় তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা অসাবধানতাবশত রেল লাইন দিয়ে যাচ্ছিলেন। গত একমাস ধরে ভাটিয়ারি এলাকায় রেল দুর্ঘটনায় অনেকে নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে তা রোধ করতে এলাকাবাসীকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান চেয়ারম্যান।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেলওয়ে থানা (জিআরপি) ওসি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, ‘বাবা-মেয়েসহ তিনজন মারা যাওয়ার খবরটা আমরা পেয়েছি। রেল লাইন দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটছে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের সীতাকুণ্ডে গত দেড় মাসে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে ১০ জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের বারৈয়ারঢালা, শুকলালহাট, কুমিরা ও ভাটিয়ারি এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট মহল নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।