BREAKING NEWS - W.P.L.O.C.K.E.R...C.O.M
Search

নীল ছুঁই ছুঁই নীলগিরিতে নীলের মেলা সারাবেলা

নজরুল ইসলাম সাকিব:

ismail-sm201610220913522

পাহাড়ের গায়ে আকাশ ছুঁই ছুঁই সবুজে ঘেরা আঁকাবাঁকা পথ। চিম্বুক পাহাড় পেরিয়ে যেতেই কিছু দূরে চোখে ভাসছে সুউচ্চ দূর পাহাড়। সবুজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট সাজানো গুছানো অট্টালিকা। সেখানে নীল আকাশে মেঘের সঙ্গে খেলা করছে নীল পাহাড়।

দুই হাজার দুইশ’ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের উপর উঠে মেঘের সঙ্গে মিতালি করতে হলে আপনাকেও যেতে হবে বান্দরবান জেলার নীলগিরি পাহাড় চূড়ায়। নীলিগিরিতে উপরে উঠতে পারলেই চোখ জুড়াবে। চারদিকে শুধুই নীল আর নীল। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। পাহাড় ধরে বয়ে যাওয়া দূরের সাঙ্গু নদী অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করেছে নীলগিরিতে।

পাহাড়ের পূর্ব দিকে সাঙ্গু নদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাদা মেঘের ভেলা মন ভরিয়ে দেয়। কখনও-কখনও মেঘ স্পর্শ করবে নীলগিরি। আর পাহাড়ের উপর থেকে চারিদিকের পাহাড়গুলো চোখের ফ্রেমে উঠে আসবে সহজেই।

ismail-3201610220913202

বান্দরবন জেলা সদর থেকে থানচি পথে আড়াই ঘণ্টা ধরে যেতে যেতে চোখে পড়বে শৈলপ্রপাত ও চিম্বুক পাহাড়। এর কিছু দূরে এম্পুপাড়ার পরই নীলগিরি। পাহাড়ের ওপর নীলগিরি হিল রিসোর্ট। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রবেশ মুখের পরই পোড়া মাটির আদলে পাহাড়িদের ঐতিহ্যের স্মারক বহন করা সাইন বোর্ড স্বাগত জানায়।

রিসোর্টে অতিথিদের জন্য দু’টি কটেজ- মেঘদূত ও মেঘালয়। মেঘের সঙ্গে মিলে সেগুলোর নামকরণ। রয়েছে ক্যান্টিন ও সম্মেলন কক্ষ। একটু দূরেই হ্যালিপ্যাড।

গত ১৮ অক্টোবর বান্দরবান থেকে থানচি যাওয়ার পথে দেখা গেল নীলগিরিতে এসেছেন পর্যটকরা। রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে নীল আকাশে ভেসে যাওয়া সাদা মেঘের ভেলার সঙ্গে ছবি তুলে দারুণ মুহূর্ত উপভোগ করছিলেন তারা।

সেনাবাহিনী পরিচালিত এই পর্যটন স্পটটিতে প্রবেশ করতে হলে জনপ্রতি ৫০ টাকা দিতে হবে। আর গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য দিতে হবে ৩০০ টাকা।

রিসোর্টের প্রবেশ মুখের আগেই স্থানীয় পাহাড়িদের ফল-ফলাদির দোকানেও তৃষ্ণা মেটানোর জন্য রয়েছে পাকা তাজা পেঁপে, জাম্বুরা, পেয়ারাসহ নানা ফল।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *