সোলায়মান মিঠু::
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে রঙিন একটি দিন কাটল আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের গ্র্যাজুয়েটদের। প্রিয় ক্যাম্পাসে স্মৃতির রোমন্থনে পুরো একটি দিন আনন্দের ভেলায় ভাসলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-সহপাঠী ও দেশ বরেণ্যদের সঙ্গে মাতলেন ক্ষাণিকটা সময়। প্রাণের বন্ধনে একে অন্যের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে প্রত্যেকেই যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন সেই সব হারানো দিনে। হাতড়ে ফিরেছেন ক্যাম্পাস জীবনের বিগত বছরগুলোর সেই উচ্ছল, বাধাহীন, তারুণ্য ও যৌবনের ছোট গল্পগুলোকে।
বর্ণাঢ্য ও আনন্দমুখর পরিবেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জুলাই (শনিবার) রাষ্ট্রপতি ও আইআইইউসি’র আচার্য মো. আবদুল হামিদের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব এবং গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
আইআইইউসি’র চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী কথা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ ও মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকার কোনো ধরনের পার্থক্য করে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও সুযোগ নিশ্চিত করবে সরকার। শর্ত পূরণে ব্যর্থ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি দিন চলতে পারবে না বলে জানান মন্ত্রী।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ ও মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সমাবর্তনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. আলী, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আইন উপদেষ্টা আল সায়িদ আলী বিন সায়িদ আল হাসিম, আইআইইউসি’র উপাচার্য অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দীন।
এবারের সমাবর্তনে ২২ হাজার ৮৫৯ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৬ জনকে চ্যান্সেলর পুরস্কার ও ২৩০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর পদক দেওয়া হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। আইন অনুষদের গ্র্যাজুয়েট এডভোকেট সরওয়ার হোসেন লাভলু বলেন, ‘গাউন পড়ে ক্যাম্পাসে ঘুড়তে ভালো লাগছিল। কিন্তু যখন মনে হচ্ছে আজ থেকে প্রাক্তন হয়ে গেলাম তখন মনটা একটু খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের সেই দিনগুলোর কথা আজ খুব মনে পড়ছে’।
শিক্ষাজীবনের বহু কাক্সিক্ষত এই মাহেন্দ্রক্ষণে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নতুন-পুরনো শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছিলেন দলবেঁধে। অনেকেই ক্যাম্পাস জীবনের ফেলে আসা সেই সোনাঝরা দিনগুলোতে ফিরে যান। শিক্ষক-সহপাঠী ও দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের সংমিশ্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থান মহোৎসবে পরিণত হয়। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাসে ছাপিয়ে উঠে।