BREAKING NEWS - W.P.L.O.C.K.E.R...C.O.M
Search

সীতাকুণ্ডে লোকসান গুনছেন ৫ হাজার পোল্ট্রি খামারি

বিশেষ প্রতিনিধি :: করোনার প্রভাবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পোল্ট্রি শিল্পে চরম সংকট তৈরি হয়েছে। উৎপাদিত ডিম ও মাংসের উৎপাদন খরচ না ওঠায় প্রায় মাসখানেক ধরে লোকসান গুণছেন খামারিরা। কয়েক দিনেই সীতাকুণ্ডের প্রায় ৫ হাজার খামারি সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। এমনকি তারা পাশে পাচ্ছেন না কাউকে।

সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় এমন হাহাকারের চিত্র দেখা গেছে। সীতাকুণ্ড পোলট্রি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির তথ্যমতে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজারের অধিক পোলট্রি খামার রয়েছে। এসব খামারের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। খামারিদের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের। তারা নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে খামার পরিচালনা করলেও করোনা সংকটের সাথে আর পেরে উঠছেন না। অতীতেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তারা সরকার থেকে তেমন প্রণোদনা পাননি। এখন পর্যন্ত খামারিরা সহায়তার কোনো নির্দেশনা পাননি। ফলে লোকসান দিয়েই খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন।

খামারিদের তথ্যমতে, বর্তমানে একটি ডিম উৎপাদনে একজন খামারির খরচ ৫টাকা ৭০পয়সা হলেও ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে ৪ টাকায়। আবার ১ কেজি বয়লার মাংস উৎপাদন খরচ ১শ টাকা হলেও বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। উৎপাদন খরচের সাথে একদিকে যেমন উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না,তেমনি বিভিন্ন এলাকা লকডাউনে থাকায় ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যের জোগান দেওয়া যাচ্ছে না। বাড়বকুণ্ডের খামারী মহিউদ্দিন জানান, তিনি ধার-দেনা করে সাড়ে ৫ হাজার মুরগির বাচ্চা তুলেছেন। শেডসহ তার সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। যখনই বিক্রির উপযুক্ত সময়,তখনই দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি ৪ লাখ টাকায় ওই মুরগি বিক্রি করেন। এতে তার লোকসান হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এখন তো তার পথে বসার উপক্রম।


একেইভাবে আলমগীর, ইউসুফ, পারভেজ ও আনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র খামারী বলেন,মুরগির খামারই আমাদের উর্পাজনের একমাত্র সম্বল। করোনায় লোকসানে আমরা ডিম উৎপাদনের মুরগি বিক্রি করে দিয়েছি। মুরগি বিক্রির টাকায় খাবারের টাকাই শোধ হয়নি। এখন শূন্য হাতে ঘরে খাবার পর্যন্ত নেই। এ সময় কাউকে পাশেও পাচ্ছি না আমরা।


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহ জালাল মোহাম্মদ ইউনুচ জানান, সীতাকুণ্ডের পোলট্রি শিল্প উপজেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কিন্তু করোনার কারণে এখন অনেকটা দুঃসময় যাচ্ছে তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সহায়তা করার মতো কোনো সরকারি সিদ্ধান্তের চিঠি এখনো আসেনি। তবে আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *